স্মৃতি বলতে বোঝায়,মানুষের অতীত ঘটনার কোনো কিছু দেখা,অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা এর স্মরণ যোগ্যতাই হল স্মৃতি। তবে যে যত বেশি অতীত ঘটনা সমূহকে স্মরণ রাখতে সক্ষম হবে, তার স্মৃতি শক্তি ততই বেশি প্রখর হবে।স্মৃতি শক্তি উন্নত করার কৌশল
কয়েকটি কার্যকরী কৌশল:
এমনকি স্মৃতি শক্তি উন্নত করার জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অনেক গবেষণা করেছেন। সেজন্যে বিভিন্ন গবেষণার মধ্যে দিয়ে জেনে নেওয়া যাক স্মৃতি শক্তি উন্নত করার কয়েকটি কার্যকরী কৌশল:
১। মনোবিজ্ঞানী রবিবসন এর নিয়ম:- মানুষের মধ্যেকার স্মৃতিকে উন্নত করার জন্য মনোবিজ্ঞানী রবিবসন‘survey Q-3r’এর আবিষ্কার করেন। এই Q-3r-এর মানে হল Question=প্রশ্ন কর, Read=পড়, Recite=আবৃত্তি কর, Review=পুনরায় স্মরণ কর। এই পদ্ধতি মেনে চললে মানুষের স্মৃতি শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেতে থাকে।
২। কোনো বিষয়বস্তুর উপর গভীর মনোযোগ:- প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে স্মৃতি উন্নত করার আরও একটি কৌশল হল গভীর মনোযোগ। গভীর মনোযোগ সহকারে কোনো বিষয়বস্তু অধ্যয়ন করলে তা আয়ত্ব করা যে কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে।
৩। যেকোনো বিষয়ে নিয়মিত অধ্যয়ন:- যেকোনো বিষয়ে সহজেই স্বরনযোগ্য হওয়া যায় যদি বিষয়টিকে নিয়মিত অধ্যয়নকরা হয়ে থাকে। এর ফলে মস্তিষ্কের স্মৃতি উন্নত ও সমৃদ্ধ হতে থাকে।
৪। স্বরণ শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সম্পুর্ন ও অর্থপুর্ণ শিক্ষা:- প্রত্যেক মানুষ তাদের জীবনে স্বরণ শক্তির বিকাশ ঘটাতে পারেন তাদের সম্পুর্ন ও অর্থপূর্ণ শিক্ষালাভের মাধ্যমে। এই স্মরণ শক্তিকে ইংরেজিতে বলা হয় বলা হয় Memory Power।
৫।শিক্ষা অর্জনের সংকল্প:- যে কোনো ব্যাক্তির ক্ষেত্রে যা অবশ্যই দরকার,কোনো বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করার সংকল্প নেওয়া। তবে এই সংকল্প নেওয়ার মাধ্যমে অর্জিত হয় শিক্ষা।
৬। অনুশীলনের মাধ্যমে স্মৃতির বিকাশ:- মনোবিজ্ঞানী স্টাউট ‘Stout’-এর মতে,সমগ্র মানব জাতির স্মৃতি শক্তির উন্নয়ন ঘটে অনুশীলন এর মাধ্যমে।
৭। চিত্ত বিনোদনের মাধ্যমে স্মৃতির উন্নতি:- আমাদের অর্থাৎ সমগ্র মানুষের জীবনে গান,খেলা,টিভি দেখা,ইন্টারনেট চালনা করা ইত্যাদি চিত্ত বিনোদন স্মৃতিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।তবে একটানা কোনো কিছু করলে ক্লান্তি ও অবসাদ আসে যা বিস্মৃতি শক্তি – কে বাড়িয়ে দেয়। সেজন্যে বলা হয়ে থাকে প্রত্যেক মানুষের জীবনে চিত্ত বিনোদনেরও প্রয়োজন রয়েছে।
৮।ধ্যানের উপকারিতা:– মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে ধ্যান স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করার একটি পরীক্ষিত কৌশল। এমনকি ধ্যান করার মাধ্যমে মানুষ তার মস্তিষ্কের উপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং নিয়মিত ধ্যান মানুষের মস্তিষ্ককেও শীতল রাখতে সাহায্য করে। ফলে যেকোনো মানুষের পক্ষে কোনোকিছু মনে রাখা সহজ হয়ে ওঠে।